এপলক-লোকালটক-ইথারনেট-টোকেনটক ও জোন
এপলক
(এপলক-লোকালটক-ইথারনেট-টোকেনটক ও জোন) ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার নিয়ে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্কে এই এপলটক নেটওয়ার্ক টেকনােলজি ব্যবহার করা হয়। খুবই সাধারণ একটি ক্যাবলিং স্কীমের উপর ভিত্তি করে এপল ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার নিয়ে যাতে ছােটখাটো নেটওয়ার্ক গড়া যায় সেজন্য ১৯৮৩ সালে এপলটক আর্কিটেকচার গড়ে ওঠে। এই এপলটককে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এখানে আমরা সেসব নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সংক্ষেপে জানব।
লোকালটক
এপলটক এমন একটি নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক মিডিয়ায় কাজ করতে পারে। এটি একই সাথে ইথার টক কিংবা টোকেন টক হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু লোকালটক হলাে এপল মেশিনসমূহে কাজ করার জন্য ট্রান্সমিশন মিডিয়া। লোকালটক ইথারনেট ও টোকেন- রিং এর মতােই ফ্রেম ব্যবহার করে এবং এটি একসেস মেথড হিসেবে ক্যারিয়ার সেন্স মাল্টিপল একসেস উইথ কলিশন এভয়ড্যান্স বা CSMA/CA ব্যবহার করে।
লােকালটক নেটওয়ার্কের একসেস মেথড CSMA/CA ইথারনেটে ব্যবহৃত CSMA/CD’র চেয়ে সামান্য ভিন্ন। CSMA CD মেথড কলিশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কলিশন ঘটলে সেই সিগন্যাল ফেরত আসে। CSMA/CA মেথডে আগেই চেষ্টা করা হয় যাতে কলিশন না ঘটে। এজন্য যখন কোনাে কম্পিউটার দেখে নেটওয়ার্কে সিগন্যাল নেই তখন সে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করে এবং একটি সংক্ষিপ্ত সিগন্যাল পাঠায় সেই মিডিয়া যাচাই করার জন্য। যদি সেই সিগন্যাল নির্বিঘ্নে অতিক্রম করতে পারে তাহলে আসল ডাটা সিগন্যাল পাঠানাে হয়। এটিকে বর্ণনা করা যেতে পারে এভাবে: রাস্তা পার হওয়ার সময় আপনি যাতে গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে অক্কা না পান সেজন্য অন্য কাউকে পাঠিয়ে দেখলেন সে নির্বিঘ্নে পার হতে পারে কি না। যদি সে পার হতে পারে তাহলে আপনি অগ্রসর হবেন। আর যদি সে নির্বিঘ্নে রাস্তা অতিক্রম করতে না পারে, তাহলে আপনি পার হওয়ার ঝুঁকি নেবেন না।
লোকালটক নেটওয়ার্ক STP ক্যাবল ব্যবহার করে বাস কিংবা ট্রি টপোলজি গড়ে তােলা যেতে পারে। UTP কিংবা ফাইবার অপটিক ক্যাবলে ডেটা ট্রান্সমিট করার উপযোগী নেটওয়ার্ক এডাপ্টার পাওয়া যায়। তবে একটি লোকালটক নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ ৩২ টি ডিভাইস যোগ করা যেতে পারে। লোকালটক ক্যাবলের উভয়প্রান্তে একটি করে ৮. পিন প্লাগ থাকে এবং ক্যাবলে স্মল কানেক্টর মড়ালের মাধ্যমে অনেক কটি ক্যাবল যােগ করা যেতে পারে। অন্যান্য নেটওয়ার্ক চেয়ে লোকালটক নেটওয়ার্ক খুব ধীরগতির। সেকারণে কর্মব্যস্ত নেটওয়ার্কে লােকালটক ব্যবহৃত হয় না।
ইথারনেট ও টোকেনটক
এপল কমিপউটারে এপলটক ফেজ ২ এবং এক্সপানশন কার্ড স্লট ব্যবহার করে এতে ইথারনেট (EtherTalk) এবং টোকেন রিং (TokenTalk) ব্যবহার করা যেতে পারে। এটিতে লােকালটক ব্যবহৃত না হওয়ায় এর গতি অনেক বেশি পাওয়া যায় এবং এতে বিভিন্ন ধরনের ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের সুবিধাও আছে। এছাড়া ইথারটক কিংবা টোকেনটক ব্যবহার করা হলে সে নেটওয়াক ম্যাকিন্টশ ছাড়া অন্যান্য নেটওয়ার্কের সাথেও কাজ করতে পারে।
এপলশেয়ার
এপল টক নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ফাইল- সার্ভার হলাে এপল শেয়ার। এপল টক নেটওয়ার্কে প্রতিটি ম্যাকিন্টশ কম্পিউটারে এপল শেয়ার ফাইল- সার্ভারে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার রয়েছে।
জোন
এপলটক নেটওয়ার্কে বিভিন্ন কম্পিউটারকে নিয়ে একেকটি zone তৈরি করা হয়। এই জোনের একটি নাম থাকে এবং সেই জোন সিলেক্ট করে সেই সব কম্পিউটারের রিসোর্স দেখা যায়। এটিকে উইন্ডােজের ওয়ার্কগ্রুপের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।