বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক
বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক কম্পিউটারের অংশগ্রহণের ফলে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। নেটওয়ার্ক কে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। গুলি হল:
- পিয়ার-টু-পিয়ার (peer-to-peer),
- ক্লায়েন্ট- সার্ভার (client-server) এবং
- হাইব্রিড (hybrid) নেটওয়ার্ক।
এই তিন ধরনের নেটওয়ার্কের কোনটি কার জন্য উপযােগী সেটি নির্ভর করে বেশ কটি নিয়ামকের উপর। এসব নিয়ামকের মধ্যে আছে ভৌগলিক অবস্থান, ব্যবহারকারীর সংখ্যা, কোন ধরনের এপ্লিকেশন চালানাে হবে, সেই নেটওয়ার্ক কে চালাবে, ইত্যাদি।
- পিয়ার-টু-পিয়ার : এ ধরনের নেটওয়ার্কে প্রত্যেক ইউজার অন্য ইউজারের সাথে তথ্য শেয়ার করে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক চালু হয় ১৯৮৪ সাল থেকে, যখন এপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিন্টশ প্লাস উদ্ভাবন করল। মাইক্রোসফট ১৯৯২ সালে তাদের উদ্ভাবিত উইন্ডোজ ৩.১১ কে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক উপযোগী করে তোলে। খুব সাধারন একটি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইউজার তাদের প্রিন্টার, ফোল্ডার, সিডিরম ড্রাইভ, ফ্লপি ডিস্ক, ইত্যাদি অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। তার মানে অফিসে একটি বা দুটি প্রিন্টার থাকলে অন্যরাও তা ব্যবহার করতে পারবে, যদি সেই প্রিন্টার যুক্ত মেশিনের ইউজার প্রিন্টারের অন্যদের জন্য শেয়ার করবেন। তেমনি এক কম্পিউটাে সংরক্ষিত ফাইল অন্যরা শেয়ার করতে পারে। ফাইল ও প্রিন্টার শেয়ারিং এর ফলে ব্যবহারকারীরা অনেক প্রােডাক্টিভ হতে শুরু করল এবং কোম্পানির সাশ্রয় হতে লাগল। এর ফলে অল্পদিনেই পিয়ার টু- পিয়ার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
- ক্লায়েন্ট- সার্ভার নেটওয়ার্ক : পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের কিছু অসুবিধা ছিলাে। এগুলিকে অতিক্রম করল ক্লায়েন্ট- সার্ভার নেটওয়ার্ক। ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমস্ত রিসাের্সকে কেন্দ্রীয়ভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব হলাে। একটি সার্ভারের সাথে প্রিন্টার সংযুক্ত করা এবং সেখানেই অন্যান্য ফাইল জমা রাখার সুবিধা পাওয়া গেল এতে। এই মডেলের আরেকটি বড় সুবিধা হলাে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে খুবই দুর্বল। তথ্যকে কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা যায় বলে তথ্যের নিরাপত্তা বাড়ে, সেগুলিকে ব্যাকআপ করতে সুবিধা হয় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বিভিন্নজনের অনুমতি বা পারমিশন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- হাইব্রিড নেটওয়ার্ক : অনেক ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এবং পিয়ার-টু- পিয়ার নেটওয়ার্ক দুটিরই দরকার পড়ে। সেক্ষেত্রে নেটওয়ার্কে দু’ধরনের ব্যবস্থাই রাখা হয়। একে বলা হয় হাইব্রিড নেটওয়ার্ক। এতে একই সাথে ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
আমরা এখন পিয়ার টু পিয়ার, ক্লায়েন্ট-সার্ভার এবং হাইব্রিড নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানব।
পিয়ার-টু- পিয়ার নেটওয়ার্ক।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে প্রত্যেক ইউজার তাদের রিসাের্স অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। তার মানে প্রতিটি কম্পিউটার একইসাথে সার্ভার এবং ওয়ার্কস্টেশন। এখানে প্রতিটি রিসাের্স ডিসেন্ট্রালাইজড বা ছড়ানাে ছিটানো। পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক নিচের বৈশিষ্ট্য গুলো পাওয়া যাবে:
- ইউজাররা তাদের মেশিনের বিভিন্ন রিসোর্স, যেমন ফাইল- ফোল্ডার, প্রিন্টার, সিডি রম ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভ, ইত্যাদি শেয়ার করতে পারে।
- এ ধরনের নেটওয়ার্ক ১০ জন বা তার কম ইউজারের জন্য সুবিধাজনক হয়।
- এর চরিত্র বিকেন্দ্রীভূত- ফাইল বা রিসাের্স এক স্থানে সংরক্ষিত নয়।
- এখানে প্রত্যেক ইউজার নিজ নিজ কম্পিউটার এডমিনিস্টার করে থাকেন, ডেডিকেটেড নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটরের দরকার পড়ে না।
- এটি তৈরি করার জন্য বিশেষ কোনাে সফটওয়্যার বা নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম দরকার পড়ে না।
আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ হিসেবেই পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কিং কাজ করে। এর জন্য সাধারনত ভিন্ন কোনাে সফটওয়্যার কিংবা নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার দরকার পড়ে না। যেমন আপনার মেশিনে উইন্ডােজ ৯৫/৯৮ কিংবা উইন্ডােজ এক্সপি ইনস্টল থাকলে সহজেই একটি পিয়ার টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনার কম্পিউটারকে অন্য কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে হবে এবং একে ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে কনফিগার করতে হবে। ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে কনফিগার করা হলেই এটি অন্য ওয়ার্কস্টেশন এর সাথে যোগাযোগ গড়তে পারবে।
একই পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক অংশগ্রহণকারী কম্পিউটারগুলোকে নিয়ে গড়ে ওঠে ওয়ার্কগ্রুপ (ম্যাকিন্টশে বলা হয় গ্রুপ)। প্রতিটি ওয়াকগ্রুপের একটি নাম দেয়া হয়। যেমন webdesign ওয়ার্কগ্রুপের মাধ্যমে বােঝানাে যেতে পারে একদল কর্মীকে যারা ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে থাকেন। একই নেটওয়ার্কে একাধিক ওয়ার্কগ্রুপ থাকতে পারে এবং কোনাে অফিসে এরকম বিভিন্ন ওয়ার্কগ্রুপ দেখে বলে দেয়া যায় কোন কম্পিউটার কোন। ডিপার্টমেন্ট কিংবা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কোন ক্ষেত্রে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক উপযোগী
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাইলে ভালোভাবে ভেবে নিতে হবে। আপনার নেটওয়ার্ক বর্তমানে কত। বড় হবে, ভবিষ্যতে এটি বাড়ার সম্ভাবনা কতটুকু, এর ইউজার সংখ্যা কত, ইউজাররা নেটওয়ার্ককে কীভাবে । ব্যবহার করবে, ইউজারদের নেটওয়ার্ক ও কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা কেমন, ইত্যাদি ভেবে দেখতে হবে। স্বল্প । ব্যয়ে স্বল্প সংখ্যক ইউজারের জন্য নেটওয়ার্ক গড়তে চাইলে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক উপযােগী হবে। কিন্তু ইউজারের সংখ্যা বেড়ে গেলে কিংবা কম্পিউটারের সংখ্যা বেড়ে গেলে এটি ভালাে কাজ করবে না। তাছাড়া পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের ইউজাররা যেহেতু এডমিনিস্ট্রেটর তাই এতে প্রত্যেক ইউজারকে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক ব্যবহারে দক্ষ হওয়া দরকার। নিম্নোক্ত কারণে আপনি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক নিতে পারেন:
- ইউজারের সংখ্যা হবে দশ বা তার কম। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ রিসাের্স শেয়ার করবে।
- কোনাে সার্ভার থাকবে না, অর্থাৎ আপনি কোনাে নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে চান না
- এমন কেউ নেই যে নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে পৱাে সময় দিতে পারে কিংবা নেওয়া। এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজ করতে পারে।
- নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি আপনার প্রয়োজন নেই কিংবা থাকলেও তা সামান্য।
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক ও সিকিউরিটি
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক বা ওয়ার্কগ্রুপ মডেলে আসলে সিকিউরিটি বলতে তেমন কিছুই নেই। এধরনের নেটওয়াকে ব্যবহার করা হয় শেয়ার লেভেল সিকিউরিটি। শেয়ার লেভেল সিকিউরিটিতে প্রতিটি শেয়ারড রিসােসের জন্য একটি করে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। সেই পাসওয়ার্ড যেসব ব্যবহারকারী জানবে তারা সেই রিসােস ব্যবহার করতে পারবে। কোন কোন ইউজার সেটি ব্যবহার করতে পারবে তা আমরা নির্দেশ করতে পারব এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ইউজার কোনাে রিসোর্স শেয়ার করে তার জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিতে পারে কিংবা কোনাে পাসওয়ার্ড ব্যবহার নাও করতে পারে। কোনাে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা না হলে ওয়াকগ্রুপের সবাই সেটি ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু পাসওয়ার্ড দেয়া হলে সেই পাসওয়ার্ডটি অন্য ইউজারদের জানাতে হবে।। এভাবে অনেকজনকে পাসওয়ার্ড বলে দিলে আসলে সেটি গােপন থাকে না। আবার শেয়ারের সংখ্যা বেশি হলে। প্রতিটি শেয়ারের পাসওয়ার্ড মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
অনেক পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য অনেকে প্রতিটি রিসাের্সের জন্য একই পাসওয়ার্ড। ব্যবহার করে থাকে। এটি আসলে কোনাে নিরাপত্তা দেয় না। আপনি যদি আপনার বিল্ডিঙের প্রতিটি কক্ষে তালা লাগান কিন্তু প্রতিটি তালা যদি একটি চাবি দিয়েই খােলা যায় তাহলে এতগুলি তালা লাগানাের কোন অর্থ হয় না। তেমনি কম্পিউটারে প্রতিটি রিসাের্সের জন্য একই পাসওয়ার্ড দেয়া এবং সেই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন ইউজারকে জানিয়ে দেয়া কারকম নিরাপত্তা দিতে পারে সহজেই অনুমেয়।
ক্লায়েন্ট- সার্ভার নেটওয়ার্ক
কেন্দ্রীয়ভাবে ডাটা স্টোর, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন এপ্লিকেশন চালনা এবং নেটওয়ার্ক পরিচালনার উপযােগী একটি মডেল হলাে ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেল। এই মডেলে একটি কম্পিউটারে থাকবে রিসাের্স, আর নেটওয়ার্কের। অন্যান্য কম্পিউটার সেসব রিসাের্স ব্যবহার করবে। যে কম্পিউটার রিসাের্স শেয়ার করবে সেটি হলাে সার্ভার, আর যেসব কম্পিউটার সেই রিসোের্স ব্যবহার করবে তারা হলাে ক্লায়েন্ট। নেটওয়ার্কের সমস্ত রিসাের্স সার্ভারে জমা থাকায় রিসাের্স ম্যানেজ করা যেতে পারে কেন্দ্র থেকে। তেমনি সব ইউজার একই সার্ভারে লগ-ইন এবং সার্ভারের সিকিউরিটি পলিসি মেনে চলে বলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ক্লায়েন্ট- সার্ভার নেটওয়ার্ককে সার্ভার- বেজড নেটওয়ার্ক বলা হয়।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য সমূহ হলো:
ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক সহজে স্কেলাবল বা সম্প্রসারণযােগ্য। দশজন ইউজার থেকে শুরু করে
হাজার ব্যবহারকারীর জন্য এটি করা যেতে পারে
- এ ধরনের নেটওয়ার্কে সার্ভার থাকে। সার্ভার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সাধারণত উন্নতমানের হয়ে।
- থাকে এবং এসব সার্ভার অন্যান্য কম্পিউটারের জন্য বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করে।
- ইউজার লেভেল একসেস কন্ট্রোল ব্যবহার করে বলে ক্লায়েন্ট- সার্ভার নেটওয়ার্ক বেশ সিকিউর।।
- পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইউজার নেটওয়ার্কে লগ ইন করে এবং তার লগ-ইন নেম অনুসারে বিভিন্ন রিসাের্সে একসেস পায়। এখানে প্রতিটি ইউজারের জন্য বিভিন্ন রিসাের্সে বিভিন্ন পারমিশন দেয়া যেতে পারে।
- এ ধরনের নেটওয়ার্ক কেন্দ্রীয়ভাবে কোনাে নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটর ম্যানেজ করতে পারে।
- এ ধরনের নেটওয়ার্কে ইউজাররা নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব থেকে রেহাই পান। সেকারণে নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের দক্ষতা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ক্লায়েন্ট-সার্ভার মডেলের বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দরকার পড়ে। এই মডেলে ইউজার। ওয়ার্কস্টেশনের ক্ষমতা এবং সার্ভারের ক্ষমতা দুটোই কাজে লাগে। সার্ভার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে কাজ বিভক্ত থাকে। যেমন কোনাে ক্লায়েন্ট মেশিন থেকে যােগাযােগ করা হলাে সার্ভারের সাথে। সার্ভারে আছে প্রয়ােজনীয় ফাইল। এর জন্য ক্লায়েন্ট মেশিনে ইউজারকে অবশ্যই সেই ফাইল পাওয়ার জন্য কমান্ড দিতে হবে। এটি দেয়া হয় সেই রিসাের্সের ইউনিভার্সাল নেটওয়ার্ক কনভেনশন (UNC) পাথ উল্লেখ করে। ইউজার যখন সেই UNC পাথ উল্লেখ করেন তখন ক্লায়েন্ট ওয়ার্কস্টেশন সেই ফাইলের জন্য অনুরোধ পাঠায় সার্ভারে। সার্ভার সেই ফাইল খুঁজে বের করে এবং তাতে ইউজারের একসেস আছে কি না তা যাচাই করে দেখে। যদি ইউজারের অনুমতি থাকে তাহলে সার্ভার সেখানে ইউজারকে প্রবেশ করতে দেয়। এখানে সেই ফাইলে প্রবেশের জন্য সার্ভার ও ক্লায়েন্ট উভয়কেই প্রসেসিং পাওয়ার ব্যয় করতে হয়। ক্লায়েন্ট-সার্ভার বেসড এপ্লিকেশন সমূহ একই পদ্ধতিতে কাজ করে। এধরনের এপ্লিকেশন একটি অংশ রান করে ক্লায়েন্ট মেশিনে আরেকটি সার্ভার। সার্ভার থাকে আসল তথ্য। ক্লায়েন্ট মেশিনের এপ্লিকেশন থেকে সেসব তথ্য প্রবেশ করা হয় কিংবা সেসব তথ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা হয়।
ইন্টারনেট ই-মেইল এধরনের একটি ক্লায়েন্ট- সার্ভার এপ্লিকেশনের উদাহরণ। কোনাে ইউজারের কাছে আসা মেইল জমা থাকে মেইল সার্ভারে ইউজারের মেইলবক্সে। ইউজার সেই মেইলবক্সের সাথে সংযোগ মেহল ক্লায়েন্ট এপ্লিকেশন দিয়ে। সার্ভার চেক করে দেখে ইউজারের মেইলবক্সে কোনাে মেইল আছে কি না, তাহলে ক্লায়েন্ট এপ্লিকেশন জানায় এবং ক্লায়েন্ট এপ্লিকেশন সেই মেইল ক্লায়েন্টের মেশিনে ডাউনলােড করে নেয়।
HOME